শিবগঞ্জে প্রাইভেট পড়ার টাকা বকেয়া থাকায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোলাম রাব্বানী (৪০) নামে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার চাতরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী বলে, ‘আমি স্যারের কাছে ৩০০ টাকা মাসিক বেতনে ছয় মাস প্রাইভেট পড়ে আর যাইনি। এই ছয় মাসের ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে ১ হাজার ৬০০ টাকা পরিশোধ করেছি। বাকি রয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। কিন্তু স্যার আমাকে আরও তিন হাজার টাকার জন্য চাপ দেন। এসময় প্রবেশপত্র কেড়ে নিয়ে আমার বাবাকে ডাকতে বলেন। আমি বাড়িতে ফোন করে বাবাকে বিদ্যালয়ে আসতে বলি। আমার বাবা ও দাদা এসে টাকা দেওয়ার পর আমাকে প্রবেশপত্র ফেরত দেন স্যার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী বলেন, শিমুল আমার কাছে প্রাইভেট পড়েছে অনেকদিন। সে মাঝে মধ্যে আসে আবার মাঝে মধ্যে আসে না। সময় মতো বেতনও দেয়নি। ফলে তার কাছে ৩ হাজার ৩০০ টাকা বাকি পড়ে যায়। তাকে একাধিকবার বলেও সে টাকা দেয়নি। পরে তার বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি টাকা দেওয়ার দায়িত্ব নেন, কিন্তু তিনিও সময়ের মধ্যে টাকা দেননি।
গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে শিমুলের প্রবেশপত্র কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেড়ে নয়, এমনিতেই চেয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তার বাবাকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চাতরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশনায় নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোনো শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। সহকারী শিক্ষক গোলাম রাব্বানী কেন প্রাইভেট পড়াচ্ছেন তা বলতে পারবো না। তবে তিনি গত বৃহস্পতিবার যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা সম্পূর্ণভাবে ভুল করেছেন। এ নিয়ে গোলাম রাব্বানীকে সতর্ক করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাতরা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্র কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।