মানবপাচার মামলায় দুই আসামীর ৭ বছর কারাদণ্ড
বরিশালে মানবপাচার মামলায় দুজনকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনজুরুল হোসেন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা ব্যক্তিরা হলেন- বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের রসুলপুর কলোনির বাসিন্দা মেহেদী হাসান কালুর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪১) ও যশোরের কেশবপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন সাদ্দাম (৪৫)। এ মামলায় মো. আসাদুজ্জামান ও আব্দুল জব্বার মোড়ল নামের দুই ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. তুহিন মোল্লা জানান, নগরীর রসুলপুর কলোনির বাসিন্দা মোসাম্মৎ সীমা বেগম তার মেয়ে কাজল (১৫) ও প্রতিবেশী শিরিন আক্তারকে পাচারের অভিযোগে ২০১৮ সালে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ৪ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে কোতোয়ালী মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি মুক্তা বেগম ও সাজ্জাদ হোসেন সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাডভোকেট কাইয়ুম খান কায়ছার জানান, ভুক্তভোগী শিরিন আক্তারকে ২০১৮ সালের ১৫ মে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পাচারের চেষ্টা করা হয়। তখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। শিরিন আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মুক্তা বেগম ও সাজ্জাদ হোসেন বিরুদ্ধে পাচারের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। বাদীর মেয়ে কাজলকে ভারতে পাচার করা হলেও সে পালিয়ে দেশে ফিরে। পরে কাজলও আদালতে সাক্ষ্য দেয়। মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য-গ্রহণ শেষে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ এর ৬ ধারায় দুই আসামিকে দণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।