বগুড়া ইডিসিএলে ১২ অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শুরু
দেশের বগুড়া জেলায় প্রথমবারের মতো এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ইউনিটে ১২টি জীবনরক্ষাকারী স্টেরাইল অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ বাণিজ্যিক উৎপাদনের কারণে এই প্রকল্প থেকে সরকারের বছরে রাজস্ব আয় হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই ইডিসিএল ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও প্লান্ট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ২০০৫ সালে জীবনরক্ষাকারী ইনজেকশন বা স্টেরাইল অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের লক্ষ্যে সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস বগুড়া ইউনিটে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিল। সেখানে সেফালোস্পোরিন গ্রুপের সেফট্রাইক্সেন, সেফুরোক্সাইম, সেফটাজিডিম ও সেফরাডিনের মতো ১২টি জীবনরক্ষাকারী স্টেরাইল অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের কথা। কিন্তু বছরের পর বছর পার হয়ে গেছে, সেই প্রকল্পের কোনো অগ্রগতি হয়নি। অবশেষে প্রকল্পটি শুধু আলোরমুখই দেখলো না, বরং উৎপাদন প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে এই ইউনিটে। ১৫ ফেব্রুয়ারি এ প্রকল্পের উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের কারণে এ প্রকল্প থেকে সরকারের বছরে রাজস্ব আয় হবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এতদিন এসব ওষুধ বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা হতো। ফলে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব ব্যয় হতো সরকারি কোষাগার থেকে। এখন সেই অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের নতুন পথের সূচনা হলো বগুড়ার এই ইউনিট থেকে।
বগুড়ার ইডিসিএলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ও প্লান্ট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে বগুড়া ইউনিটের বর্ধিতাংশে নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছিল। তারপর সেই প্রকল্পের আর কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সেসময় আমদানি করা যন্ত্রপাতি প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে। প্রকল্পটি যখন পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়ার পথে সেসময় ইডিসিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহ্সানুল করির জগলুল প্রকল্পটি নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নেন।
এ লক্ষে প্রকল্পটিকে যুগোপোযোগী করার পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনের লক্ষে দুই ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রথম ধাপে ননস্টেরাইল অ্যান্টিবায়োটিক (ক্যাপসুল ও ড্রাইসিরাপ) এবং দ্বিতীয় ধাপে স্টেরাইল অ্যান্টিবায়োটিক (ইনজেক্ট্যাবলস) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নেওয়া হয়।