রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মোঃ সাদ্দাম হোসেন সাব্বির ওরফে সিটু সাব্বির ওরফে সাগর, মোঃ রনি ও মোঃ বিজয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি চাকু ও ছিনতাইকৃত ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁওয়ের পশ্চিম রাজাবাজার ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার মোল্লাবাড়ি বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি.) দুপুর ১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক পিপিএম-সেবা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. দিবাগত রাত ১২টায় তেজগাঁও থানার পানি ভবন সংলগ্ন ফুটপাতে পূর্ব পরিচিত রনির সঙ্গে ভিকটিম মোঃ ফারুক হোসেন আড্ডা দিচ্ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফারুককে গ্রেফতারকৃত রনি ও বিজয় কৌশলে বাসা থেকে নিয়ে আসে ও আড্ডার মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম তাদের সাথে আড্ডায় যুক্ত হয়। সাদ্দাম ১ বছর কারা ভোগের পর জামিনে এসে ২ দিনে ১২টি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে।
তারা ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন বিক্রি করে অনেক টাকা পাবে এই খুশিতে বারে গিয়ে মদ পান করতে চায়। পরে সাদ্দাম বার থেকে মদ এনে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগির সময় ভিকটিমের সাথে বাক-বিতন্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে সাদ্দাম চাকু দিয়ে ফারুকের বাম পায়ের উরুতে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ফারুকের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম তার অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে মর্মে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।