বিশ্বজুড়ে ধস নেমেছে শেয়ারবাজারে

0

বিশ্বে অর্থ সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে অন্যান্য ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রকরা। তবু আস্থা ফিরে পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এতে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারগুলোতে ধস অব্যাহত রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের মাঝারি আকারের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক। পরে সুইজারল্যান্ডের ক্রেডিট সুইস ব্যাংকে ধস নামার শঙ্কা তৈরি হয়। সেই রেশ না কাটতেই মার্কিন আঞ্চলিক ছোট আকারের ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে বিশ্বব্যাপী আর্থিক খাতে সংকট দেখা দেয়। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নামে।

ইতোমধ্যে তারল্য বাড়াতে (নগদ সরবরাহ) ক্রেডিট সুইস ব্যাংকে ৫৪ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মার্কিন ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাংকে ৩০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে অন্যান্য ব্যাংক। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংকও সহায়তা পেয়েছে।

তবু ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরছে না। তাতে এমএসসিআই ইক্যুয়িটি সূচক কমেছে শূন্য ৫৫ শতাংশ। বিশ্বের ৪৯ দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। প্যান-ইউরোপিয়ান স্টোকস ৬০০ নিম্নমুখী হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউএস বাজারের।

ডো জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজের পতন ঘটেছে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক পড়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। নাসডাক কম্পোজিটের সূচক হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ। তবে এশিয়ার বাজার স্থিতিশীল আছে।

এসময়ে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড নিম্নমুখী হয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যান্য কারেন্সির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.