ফেনীতে ঠিকাদারের প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

0

মোঃ আবদুল রহিম: ফেনীতে ঠিকাদারি এক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে মারধর করে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতা সেন্টু মিয়া বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক ফেনীর ভবনের গ্যারেজে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার আমান ফারহান ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নাম মো. আলী আক্কাস।

তিনি জানান, সেন্টুসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত সেন্টু মিয়া সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরনের অনুসারী।

অভিযোগ জানা গেছে, সোনাগাজী-নোয়াখালী সংযোগ সড়কের সাহেবের ঘাট ব্রিজের টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করে সড়ক ও সেতু বিভাগ ফেনী। টেন্ডার জমাদানের সপ্তম ধাপের শেষ দিনে টেন্ডার জমা দিতে আসেন আমান ফারহান ট্রেডার্সের নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আলী আক্কাস। তাঁকে ডেকে সেতু ভবনের নিচে গ্যারেজে নিয়ে সেন্টু, টিপুসহ অজ্ঞাত ৩০ জন মিলে তুলে নিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাঁর হাতে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও টেন্ডারের ডকুমেন্টস ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টেন্ডার আহ্বানে সেন্টুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টু এন্টারপ্রাইজ’ ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠানের আবেদন পড়েনি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা সেন্টু মিয়া বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আজকে বাড়ি থেকে বের হই নাই। কেউ আমার বিরুদ্ধে হয়তো ষড়যন্ত্র করছে।’

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সড়ক বিভাগ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল বলেন, ‘টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা দরপত্র পুনরায় আহ্বান করব।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.