এপিপিজি সাংসদদের বদরগঞ্জে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জীবন মান পরিদর্শন

0

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সর্বদলীয় সাংসদ গ্রুপ (এপিপিজি) এর একটি প্রতিনিধি দল গত রোববার বিকেলে রংপুরের বদরগঞ্জ লোহানী পাড়ায় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান পরিদর্শন করেন।
‘দলিত ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন দারিদ্র্য বিমোচন ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হোক’ শীর্ষক শ্লোগান প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এপিপিজি এ পরিদর্শন কমর্সূচি হাতে নিয়েছেন সরকার । পরিদর্শন দলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এমপি।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কালাম মো: আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক চৌধুরী এমপি। (১১৭ ভোলা-৩) সংসদের সদস্য পানি সম্পদ সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির জাতীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীএমপি, (৬৯ পাবনা-২) সংসদীয় সদস্য, দলিত এবং সমতলের ক্ষুদ্র-নীগোষ্ঠী সম্পর্কিত সর্বদলীয় গুরু (এপিপিজি) জাতীয় সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি, ( ৩১১ মহিলা আসন-১১) মাননীয় সদস্য এবং সমতলের ক্ষুদ্রনীগোষ্ঠী সম্পর্কিত সর্বদলীয় গুরু (এপিপিজি) জাতীয় সংসদ সদস্য আরামা দত্ত্ব এমপি, (৩৩০ মহিলা আসন -৩০) কো- চেয়ারম্যান সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজি) গ্লোরিয়া ঝর্না সরকার এমপি।
লোহানি পাড়ার আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক কালচারের মাধ্যমে এপিপিজি’র সাংসদদের বরণ করে নেন।
এসময় আদিবাসী সমাজের নেতারা তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। নেতারা বলেন, ভাষা ধর্মাচার, পারিবারিক জীবন ব্যবস্থা সবকিছুতেই ভিন্নতা নিয়ে বসবাসকারী আদিবাসীরা আজো আমরা এদেশে ভূমির মালিকানা পায়নি, একথা উল্লেখ করে আদিবাসী নেতা আরও বলেন, ভূমি উন্নয়নের নামে তাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, তারা দিন দিন ভূমিহীন হয়ে পরছে।
একারনেই আদিবাসীরা আজো স্থায়ী আবাস ভূমি থেকে বঞ্চিত। এদেশে আদিবাসীরা প্রতিনিয়ত শোষন, বঞ্চনা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আদিবাসীরা এদেশে উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নয় এবং সাংবিধানিকভাবে সমান নাগরিক অধিকারের দাবিদার বলে নেতারা উল্লেখ করেন তারা।
নুরুন্নবী চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে আপনাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত হয়ে সেই ভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। উনি যেভাবে বলেন সেভাবে আপনাদেরকে শিক্ষিত হতে হবে এবং নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।

এসময় এমপি ডিউক বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন আমাদের এ দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে তোমরা ভালো জামা কাপড় পড়ো, স্কুল-কলেজে যাও, মোবাইল ব্যবহার করো। সার্বিকভাবে তোমাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। আর এ সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনেই। শেখ হাসিনা মানবতার জননী। এই দেশ সকলের দেশ। আমরা সবাই বাঙ্গালী। তাই তোমাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। জীবনকে অবহেলা করলে হবে না। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী জনগোষ্টির মধ্যে খাসি, ত্রিপুরা,গারো, সাঁওতাল, মুন্ডা ও সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.