নারী উদ্যোক্তা ঈমানা জ্যোতির স্পাইসি কেকের গল্প
কেক খেতে মিষ্টি এমনটাই শুনে এসেছি আমরা। তবে স্পাইসি কেকও যে হয় তা ভেবে দেখেছেন? আর কেকে সেই ভিন্ন স্বাদ এনে দিয়েছেন এক নারী উদ্যোক্তা। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় নিয়মিত কেক বানানো শুরু করেছিলেন তিনি। ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করে কেক বানানোর রেসিপি খুঁজে করে প্রিয়জনদের জন্মদিনে কেক বানানো শুরু করেন। সেই থেকেই কেকের প্রতি তার ভালো লাগার শুরু।
কথা হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা ও আর্টিস্টিক ডাইনের কর্ণধার ঈমানা জ্যোতিকে নিয়ে। পাশাপাশি তিনি কাজ করছেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে।
স্পাইসি কেক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রায় সময় মজার মজার ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে জ্যোতিকে। তেমনই একটি মজার ঘটনা শেয়ার করে বলেন, আমার উদ্যোগ আর্টিস্টিক ডাইনের সিগনেচার আইটেম স্পাইস কেক। একবার একজন ক্রেতা পেয়েছিলাম, যিনি স্পাইসি কেকের নাম শুনে অবাক হয়ে গেলেন যে, এত এত কেকের মাঝে স্পাইসি কেক এটা আবার কেমন! তাই তিনি শুধুমাত্র ট্রাই করবে ভেবে একটা স্পাইসি কেক অর্ডার দিয়েছিলেন। তিনি ততটা আশা করেননি যে, স্পাইসি কেক আসলে কী হতে পারে। এমনকি টেস্ট পর্যন্ত করেননি নিজে। বাসার জন্য নিয়েছেন, পরিবারের সবাইকে খেতে দিয়েছেন; কিন্তু সবাই যখন খেয়ে খুব প্রশংসা করছিল তিনি বাধ্য হয়ে টেস্ট করলেন এবং অবাক হলেন। কেকে এত ভিন্ন কিছু হতে পারে! পরে তিনি কেকের অনেক প্রশংসা করেন এবং পরপর আরও বেশ কয়েকটি অর্ডার দিয়েছিলেন। তার অনেক আত্মীয়-স্বজনের অনেককেই আমার স্পাইসি কেকের কথা জানিয়েছেন।
আমি মনে করি, যারা মিষ্টি কেক খেতে পছন্দ করে না বা পারে না তাদের জন্য একদম পারফেক্ট আইটেম এটি। কেকের মূল্যও নির্ধারণ করেছি সবার কথা মাথায় রেখে। স্পাইস কেকের সঙ্গে স্যান্ডউইচ কেকের অনেক মিল। তবে এটির স্বাদ একেবারেই ভিন্ন। কেউ মেলাতে পারবে না দুটির স্বাদকে।
স্পাইস কেক নামটা আমার দেওয়া। তবে অনেকে ভালোবেসে বলে বার্গার কেক, আবার কেউ বলে চিকেন কেক!বিভিন্ন পরিসরে আর্টিস্টিক ডাইনকে তুলে ধরার পাশাপাশি কাজ করছেন আর্টিস্টিক ওমেন নামক গ্রুপ নিয়ে। নারীদের মধ্যে থাকা সুপ্ত প্রতিভাগুলো তুলে ধরতে এবং তাদের সুপ্ত চিন্তাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে এ গ্রুপটি।
পরিবারের সমর্থন কেমন পেয়েছেন প্রথম যখন শুরু করেন? আমার কাজে বা উদ্যোগে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যর ছিল পূর্ণ সমর্থন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি যার সাপোর্ট আমি পাই তিনি হলেন আমার মা। আমার কেক ডেকোরেশন থেকে ডেলিভারি পযর্ন্ত সব ধরনের সহযোগিতা আমি আমার মা, ভাবি, দুই ভাই এমনকি আমার ছোট ভাতিজার থেকে পাই। তাদের সাহায্যর জন্যই আমি এতদূর আসতে পেরেছি।