পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে তিন মাসের ব্যবধানে এবার ২০ বস্তা টাকা গণনা করে মিলেছে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর আগে গত ১ অক্টোবর ১৫ বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। সেইসঙ্গে বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রূপার গহনাও পাওয়া গিয়েছিল। এবারও বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রূপার গহনা পাওয়া গেছে।
প্রতি তিন মাস পর পর মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে দানবাক্স খোলা হয়।
এরপর মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদ কমিটির কর্মকর্তা এবং রূপালী ব্যাংকের স্টাফসহ শতাধিক মানুষ টাকা গণনার কাজে সহায়তা করেন। মসজিদের ভেতর রূপালী ব্যাংকের দু’টি কাউন্টিং মেশিন স্থাপন করে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টাকা গণনা করা হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। গণনাশেষে এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা করা হয়।
শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত এই মসজিদে দেশের নানা প্রান্তের নানা ধর্মের মানুষ মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য দান করে থাকেন। অনেকে গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি এবং শাকসবজিও দিয়ে থাকে। সেগুলো নিলামের পদ্ধতিতে বিক্রি করা হয়। এসব দানের টাকা মসজিদ কমপ্লেক্সের উন্নয়ন, মাদ্রাসা পরিচালনাসহ নানা জনহিতকর সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসকরা থাকেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি।