দেশের ১২০ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুর দিকে জটিল রোগীদের চিকিৎসায় হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ব্যবস্থা চালু ছিল। বর্তমানে সেটি বেড়ে ১২০টি হাসপাতালে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আরও তিন হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম তিনজন রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সরকার করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ওই সময়ে ঢাকার পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেয়। পরে রোগী বাড়তে থাকায় হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়াতে থাকে; কিন্তু হাসপাতালের সংখ্যা বাড়লেও সমস্যা তৈরি হয় হাসপাতালগুলোতে জটিল রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় অক্সিজেন লাইন স্থাপন নিয়ে। পরে সংক্রমণের মধ্যে দেশের ৫টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন থেকে বেড়ে ১২০টি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইনের আওতায় আসে। বর্তমানে আরও ৩টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে।
জানা যায়, করোনার শুরুতে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ঢাকা মহানগরীর ৬টি হাসপাতালে ৪০০ শয্যা, চট্টগ্রাম মহানগরীর ২টি হাসপাতালে ১৫০ শয্যা, সিলেট মহানগরীর ২টি হাসপাতালে ২০০ শয্যা, বরিশাল মহানগরীর ২টি হাসপাতালে ৪০০ শয্যা এবং রংপুর মহানগরীর ২টি হাসপাতালে ২০০ শয্যা করোনায় আক্রান্তদের আইসোলেশনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। এ ছাড়া জেলা হাসপাতালগুলোতে ৫ শয্যার
আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বাড়তে থাকে হাসপাতালের সংখ্যা। নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় এক সময় অতি প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দেয় অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি। তখন সরকার অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে।