সংখ্যালঘুদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি চলছে: জিএম কাদের

0

নিশাত শাহরিয়ার(সিটিটিভি): জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন ও পূজা পার্বন এলেই দুটি দল সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ধুয়া তুলে রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে, তারা সংখ্যালঘূদের আতংকের মধ্যে রাখে। ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের কাছে রাখতে নোংরা রাজনীতি চলছে বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, সম্প্রতি একটি দলের এক বড় নেতা বলেছেন, নির্বাচনের আগে অমুক দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করতে পারে। তাই আমাদের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘূদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয়ে পাহারা দেবে। অপর দলটির আরেক বড় নেতা বলেছেন, অমুক দল সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে আমাদের নামে মামলা দেয়ার চক্রান্ত করছে। এতেও সংখ্যালঘুদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে দুটি দলই সংখ্যালঘুদের ভয় দেখায়। এমন বার্তায় সংখ্যালঘুদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ভীতি ছড়ানোর কারনে স্বাভাবিক পূজার পরিবেশ নষ্ট হয়। কেন একটি জাতির ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের নিচু করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে হবে? জাতীয় পার্টি এসবের নিন্দা জানায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে সুধি সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সংখ্যালঘুদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, আমরা সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাই না, তাদের নিরাপত্তা পূঁজি করে রাজনীতি করি না।

জাতীয় পার্টির কোন নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সম্পদ দখলের অভিযোগ নেই বলেও জানান তিনি। জাতীয় পার্টিই সংখ্যালঘু বান্ধব রাজনৈতিক শক্তি। আমরা সাম্প্রতিকতায় বিশ্বাস করি না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। সরকারি চাকরি বা সুযোগ সুবিধায় কোন বৈষম্য করা যাবে না। এ দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। এদেশের সবাই বাংলাদেশী। ধর্মের কারনে কেউ অধিকার বঞ্চিত হলে সেই সমাজকে আমরা সভ্য বলতে পারি না। হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউ যেনো এই দেশ ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা না করে সেই অবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা সবার স্বার্থ নিশ্চিত করতেই রাজনীতি করি।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, এ দেশ আমাদের সবার। এ দেশে কোন বিভেদ চলবে না। জাতীয় পার্টি সংখ্যালঘুদের সকল অধিকার রক্ষায় সোচ্চার আছে। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকবো।

আরও বক্তব্য রাখেন সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার রায়। উপস্থিত ছিলেন মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে, শারফুদ্দীন শিপু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ রেজাউল করিম, আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান মিয়া, ব্যারিষ্টার খাজা তানভীর আহমেদ, মোঃ মাসুম চৌধুরী, শামীম আরা সুলতানা রীমা, প্রিয়াঙ্কা সুকুল প্রমুখ।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.