নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলায় গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু করা হয়েছে। মিথ্যা এবং গায়েবি মামলায় ৯টি উপজেলা থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১০জন নেতাকর্মীসহ এখন পর্যন্ত ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া জামায়াতের ২২জন নেতকর্মীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদেরও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। গায়েবী মামলায় সিনিয়র আইনজীবীদেরকেও আসামী করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগ ২০১৪ সালে এক তরফা নির্বাচন করে এবং ২০১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করে সরকার গঠন করে। আরেকটি একতরফা নির্বাচন করতে আওয়ামীলীগ সরকারের নির্দেশে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্ট ও মামলা ছাড়া নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপিকে সমর্থন করায় ব্যবসায়ীদেরও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ যদি এ ধরনের গ্রেপ্তার বন্ধ না করে তাহলে পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়ে যাবে। এ ধরনের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের আহবায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট জাকারিয়া। এসময় নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, নোয়াখালী ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্টের সমন্বয়ক রবিউল হাসান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব নুরুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।