রাজধানীর গুলশানে স্পার আড়ালে রত্না আক্তারের জমজমাট দেহ ব্যবসা

0

রাজধানীর অন্যতম গুরত্বপূর্ণ এবং অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান-২ এ স্পার আড়ালে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। স্পা নামক অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোতে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির অন্তরালে উঠতি বয়েসি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করে জানানো হয়ে আসছে স্পা নামে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্সের নিয়ম অনুসারে। কিন্তু কোন লাইসেন্স ছাড়াই হাঁকডাক দিয়ে চলছে রমরমা এই দেহ ব্যবসা।

এদিকে, এই সকল ব্যবসা যাতে চলতে না পারে সে ব্যাপারে সব সময়ই নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এই প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স প্রাপ্তির নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় লাইসেন্স পায়নি এসব ব্যবসায়ীরা। তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী নানা কৌশলে স্যালুন কিংবা বিউটি পার্লারের নামে সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স এনে জড়িয়ে পড়ছে দেহ ব্যবসায়।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিক এমনি অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে রত্না আক্তার নামে এক স্পা ব্যবসাযী। গুলশান-২ এ হ্যাপি থাই স্পার আড়ালে গড়ে তুলেছেন দেহ ব্যবসার এক অভিনব আয়োজন। বাসা-৩৩, (লিফট-৩) রোড-৪৫, গুলশান-২, ঢাকা। মোবাইল: 01327-41 96 45. ( হোটেল ওয়েস্টিনের বিপরীতে ধাঁনসিড়ি রেস্টুরেন্টের ভবনে কিং ফিশার বারের পাশেই এই স্পা সেন্টারের অবস্থান )

রাজধানী জুড়ে চলছে স্পার অন্তরালে মধুকুঞ্জের বাণিজ্য। আর এক শ্রেণির মুনাফালোভী বিল্ডিং মালিকরা স্পার সেন্টারের নামে ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসে ভাড়া নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া গুলশানে হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও দেহ ব্যবসা। সাথে ভয়ংকর অপরাধমূলক কর্মকান্ড। অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসঙ্গী হচ্ছে উঠতি বয়েসী তরুনীরা।

অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইলিং করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, এইসব স্পা সেন্টারে প্রতিদিন সন্ধার পর বিভিন্ন পেশার লোকের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এসবের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এগুলো বন্ধ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.